অনলাইন নিউজ : বিধি মোতাবেক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতায় একাধিক তৃতীয় শ্রেণি/বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিধির কোন তোয়াক্কা করেন নি পটুয়াখালীর বাউফলের পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। অফিস ফাইল থেকে জানা গেছে, প্রভাষক মোঃ আবু বকর সরদার দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি প্রভাষক কোঠায় ৩৫,৫০০ টাকা বেতনে কর্মরত আছেন। যা চাকুরীবিধি বহির্ভূত। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহীম হাবিবের কাছে ০১৭২৪৪৪৬২ জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বলেন । এ ব্যাপারে আবু বকর সরদার বলেন আমি বিধি মোতাবেক চাকুরী করে আসছি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট মাদ্রাসায় অডিটে আসেন শিক্ষা পরিদর্শক ড. মোঃ দিদারুল জামান ও অডিটর মোঃ সিরাজুল ইসলাম। এরপরই সকল শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানাজানি হয় এবং কানাঘুষা শুরু হয়। এলাকায় ছাত্র-অভিভাবকদের মধ্যে কৌতুহল জাগে শিক্ষা পরিদর্শক আবু বকর সম্পর্কে কি ব্যবস্থা নেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা পরিদর্শক ড. মোঃ দিদারুল জামান’র কাছে ০১৭১১-৪০৬৯০ নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের শাসনামলে আবু বকর সরদার নওমালা ইউনিয়ন ওলামা লীগের সভাপতি ছিলেন। তার দুর্নীতি সম্পর্কে কেউ টুশব্দ পর্যন্ত করতে সাহস পায়নি।
তবে এলাকার সুশীল সমাজ আবু বকরের দুর্নীতি ও বিধি বহির্ভূতভাবে চাকুরীর ব্যাপারে তদন্তপূর্বক সরকারী ভাতাদি বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।